বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন

আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল

আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল

স্বদেশ ডেস্ক: সিরাজউদ্দৌলা সিরাজের সঙ্গে মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন ফেনী কারাগারে দুবার দেখা করেন। তখন সিরাজ তাদের নির্দেশ দেন নুসরাতকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে। এ প্রস্তাবে নুসরাত রাজি না হলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাতে বলেন।
নুর উদ্দিন : ১ ও ৩ এপ্রিল কারাগারে আটক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অধ্যক্ষের পরামর্শে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয়। নুর উদ্দিন গেট পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করেন নুসরাত।
শাহাদাত হোসেন শামীম : হত্যাকাণ্ডের সময় নুসরাতের মুখ চেপে ধরেন এবং দিয়াশলাই কাঠি দিয়ে আগুন ধরানোর জন্য আসামি জোবায়েরকে ইশারা করেন। নিজে কেরোসিনও কেনেন। মামলা তুলতে অস্বীকার করলে পেছন থেকে ধরে ফেলেন নুসরাতকে। আন্দোলন ও বোরকা কেনার জন্য সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদ আলম তাদের ১০ হাজার টাকা এবং এক শিক্ষক পাঁচ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা তিনি নুরউদ্দিনকে দেন। আর তিনটি বোরকা কেনার জন্য তার চাচাতো বোনের পালিত মেয়ে ও ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দেন দুই হাজার টাকা।
আবদুর রহীম শরিফ
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে ও পরামর্শে নুসরাতকে হত্যার জন্য গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানো হয়। এ জন্য ২৮ ও ৩০ মার্চ দুই দফা কারাগারে থাকা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ৪ এপ্রিল সকালে ‘অধ্যক্ষ সাহেব মুক্তি পরিষদের’ সভা করা হয়। রাতে ১২ জনের এক সভায় হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। তার (রহিম) দায়িত্ব পড়ে মাদ্রাসার গেটে।
হাফেজ আবদুল কাদের
সক্রিয় পরিকল্পনাকারী ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। কারাগার থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পরামর্শ ও নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৮ ও ৩০ মার্চ তিনি অন্যদের সঙ্গে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে ফেনী কারাগারে দেখা করেন। অধ্যক্ষের পরামর্শ মতোই ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় ‘অধ্যক্ষ সাহেব মুক্তি পরিষদের’ সভা করা হয় মাদ্রাসায় তার শয়নকক্ষে।
উম্মে সুলতানা পপি
নুসরাত হত্যার ঘটনায় পপি প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী ছিলেন। নুসরাতকে ৬ এপ্রিল নিচতলা থেকে ডেকে সাইক্লোন শেল্টারের তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে যায়। এর পর নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। হত্যাকা-ের সময় পপি নুসরাতের পা ধরে রাখেন।
জাবেদ হোসেন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। পলিথিন থেকে নুসরাতের সারা শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেন। ২৮ ও ৩০ মার্চ দুই দফা কারাগারে থাকা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ৪ এপ্রিল সকালে ‘অধ্যক্ষ সাহেব মুক্তি পরিষদের’ সভা করা হয়। রাতে ১২ জনের এক সভায় হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
কামরুন নাহার মনি
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। নুসরাতের বুকসহ শরীর চেপে ধরেন। তিনি বোরকার ব্যবস্থা করে দেন। উম্মে সুলতানা নুসরাতের পায়ে বেঁধে চলে যাওয়ার সময় মনি তাকে শম্পা বলে ডাকেন। এই শম্পা দেওয়া নামটি পপি ও মনির দেওয়া নাম। এই কিলিং মিশনে আর কোনো ছদ্ম নাম ব্যবহার হয়নি। মনি আরও জানিয়েছে বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা।
এমরান হোসেন মামুন
ঘটনার দিন সে গেট পাহারার দায়িত্বে ছিল। যাতে করে ছাদে কিলিং মিশনে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
ইফতেখার উদ্দিন রানা
ঘটনার দিন গেট পাহারার দায়িত্বে ছিল। যাতে করে ছাদে কিলিং মিশনে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
মহিউদ্দিন শাকিল
হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের দিন পাহারার দায়িত্ব ছিলেন শাকিল।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877